– মোঃ আজিজুল হুদা চৌধুরী সুমন
ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করা প্রতিটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্ক জনগণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অধিকার।কিন্তু এই অধিকারটি তখনই পরিপূর্ণতা পায় যখন দেশের সকল প্রাপ্তবয়স্কর জনগোষ্ঠী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়।কারণ,সীমিত ভােটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচিত সরকারকে কখনােই প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার বলে অভিহিত করা যায় না।সেজন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই।
কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিটি নির্বাচনের পরেই জালভােট, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ভূয়া ভোট প্রদান,ভোট গণনায় কারচুপি, শক্তিপ্রয়ােগে প্রকৃত ভােটারদের ভােটপ্রদানে বাধাদান ইত্যাদি নানা রকমের অভিযােগ শুনি। এজন্যে নির্বাচনের ব্যবস্থাপনাকেই সচরাচর দায়ী করা হয়।কেবল কি ব্যবস্থাপনার ত্রুটির জন্যই এমনটি হচ্ছে? না-কি প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতির ভেতরেই কোন গলদ রয়েছে?
একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের প্রশ্নে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলাের এভাবে মরিয়া হয়ে ওঠার জন্য দায়ী প্রচলিত গরিষ্ঠ ভােট পদ্ধতি। যার অনিবার্য পরিণতি হচ্ছে সংঘাতমূলক রাজনীতি।
এই পদ্ধতিতে সামান্য ভােটের ব্যবধানে হেরে গিয়ে একটি ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে বহুদূরে ছিটকে পড়তে পারে। আবার ছলে-বলে-কলে-কৌশলে অন্যদের চাইতে বেশী ভােট সংগ্রহ করতে পারলেই একজন প্রার্থী একটি এলাকার দণ্ডমুন্ডের কর্তা হয়ে বসতে পারেন-সামগ্রিক ভােটের ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ পেয়েও।অর্থাৎ,এই পদ্ধতিতে নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে সকল পক্ষেই থাকে চরম ঝুকি। যা জন্ম দেয় পরাজয়ের ভীতি জণিত প্রচন্ড মানসিক অস্থিরতা। ফলে প্রার্থীগণ এবং তাঁদের সমর্থকগণ হিতাহিত জ্ঞান শূণ্য হয়ে পড়েন এবং বিজয়লাভের জন্য নীতিবােধ পুরােপুরি বিসর্জন দিয়ে বসেন।
নির্বাচন যদি প্রার্থীর ব্যক্তিগত মান-সম্মান বা বাঁচা-মরার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়,তাহলে এক্ষেত্রে কাউকে সংযত হবার উপদেশ দিয়ে কোন কাজ হবে বলে মনে হয়।এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে হলে নির্বাচন পদ্ধতির মৌলিক পুনর্বিন্যাস প্রয়ােজন আর তা হতে পারে কেবলমাত্র ‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি প্রবর্তনের মাধ্যমে।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আমরা গরিষ্ঠ ভােট পদ্ধতি ব্যবহার করছি ব্রিটিশ শাসনের উত্তরাধিকার হিসাবে। দেশের বাস্তব পরস্থিতি বিচার করে স্থানীয় প্রয়ােজনের নিরীখে এই ব্যবস্থার উদ্ভব ঘটেনি। ব্রিটিশ শাসনের প্রতি আমাদের প্রেম-ঘৃণা দৃষ্টিভংগীর কারণে গণতন্ত্রের তথাকথিত প্রতীক হিসেবে ওয়েষ্ট মিনিষ্টারের যে ভাবমূর্তি আমাদের চিন্তা-চেতনাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে তার ফলেই সম্ভবতঃ এই চরম অগণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থাকে আমরা বিনা-প্রতিবাদে এখন পর্যন্ত ধরে রেখেছি।
এমনকি এই নির্বাচন পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা, কিংবা বিকল্প নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে আলােচনা-পর্যালােচনা থেকেও আমরা এ যাবৎ বিরত থেকেছি।পৃথিবীতে বৃটেন এবং তার কলােনীসমূহ ছাড়া আর কোথায়ও হবহু এই ধরণের নির্বাচন পদ্ধতি প্রচলিত নেই এবং অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশ বহু পূর্বে এই পদ্ধতি বর্জন করে আনুপাতিক পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।
এই তথ্যটি বােধ হয় আমাদের রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবী মহলে ব্যাপকভাবে পরিজ্ঞাত নয়।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাচন পদ্ধতির প্রশ্নটিকে একটি প্রধান জাতীয় রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে দেখা প্রয়ােজন। মনে রাখা দরকার ‘গরিষ্ঠ ভােট পদ্ধতি’ দ্বিমুখী রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে সহনীয় হলেও, ত্রিমুখী বা বহুমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অবশ্যভাবীরূপে চিরস্থায়ী অস্থিতিশীলতার জন্ম দেয়। বাংলাদেশের রাজনীতিকে স্থিতিশীল দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সীমাবদ্ধ করার
সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না।
সেক্ষেত্রে আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তন করেই কেবল বাংলাদেশে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্বমূলক শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
নির্বাচনের অর্থ যদি হয় দেশ শাসনের জন্য জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি বেছে নেয়া,তাহলে নির্বাচন যাতে ত্রুটিমুক্ত এবং যথার্থ হয় তার নিশ্চয়তা বিধান করা অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়।
এ ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ের দিকে দৃষ্টি দিতে হয়।
প্রথমতঃ
জনপ্রতিনিধিত্বের ধরণটা কেমন হবে, অর্থাৎ নির্বাচন পদ্ধতি কোন ধরণের হবে তা ঠিক করা দরকার।
দ্বিতীয়তঃ
নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ এবং ত্রুটিমুক্ত হয় সে দিকে
লক্ষ্য রেখে নির্বাচনের ব্যবস্থাপনার জন্য একটি নিচ্ছিদ্র-প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করতে হবে।
বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন দেশে নির্বাচনের বিভিন্ন পদ্ধতি চালু রয়েছে। বাংলাদেশের, তথা উপ-মহাদেশের মানুষ যে পদ্ধতির নির্বাচনের সাথে পরিচিত তা হচ্ছে বৃটেনে প্রচলিত
গরিষ্ঠ ভােট পদ্ধতি। ভারত, পাকিস্তান, অষ্ট্রেলিয়া, শ্রীলংকা, নাইজেরিয়া,ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত প্রাক্তন ব্রিটিশ উপনিবেশগুলােতেই কেবল এই পদ্ধতি এখনও বহাল দেখা যচ্ছে।এই পদ্ধতিতে একাধিক প্রার্থীর মধ্যে যিনি সর্বাধিক ভােট পাবেন, তিনিই সকল ভােটদাতার প্রতিনিধিত্ব করবেন। এর ফলে ১০/১২ জন প্রার্থীর মধ্যে ভােট ভাগাভাগির দরুন শতক দশভাগের কম ভােট পেয়েও একজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে যেতে পারেন।
অর্থাৎ শতকরা ৯০ ভাগ ভােটার যাঁর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন তিনিই হবেন সকলের প্রতিনিধি। এ জন্যে এই পদ্ধতিকে First past the post বা winner takes it all নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। বাংলায় আমরা একে বলবাে বুড়ি ছোঁয়া পদ্ধতি। গ্রাম বাংলার গােল্লাছুট খেলার মত ছুটে গিয়ে যে আগে ‘বুড়ি’ ছুঁতে পারবে সবটুকু কৃতিত্বই তার একার।।
ব্রিটিশ পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা গরিষ্ঠ ভােট পদ্ধতির নির্বাচন যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ এবং কার্যতঃ অগণতান্ত্রিক এই ধারণাটি সর্ব প্রথম তুলে ধরেন ফরাসী গণিতবিদ জী চার্লস দ্য বাের্লে, ১৭৭০ সালে। তিনি অংক কষে দেখিয়ে দেন এই পদ্ধতিতে কীভাবে ভােটদাতাদের ইচ্ছার অবমূল্যায়ন ঘটে।
১৭৮৫ সালে মার্কুইস দ্য কন্দরসেতও একই অভিমত প্রচার করেন। এর পর থেকে এ নিয়ে ইউরােপ জুড়ে আলােচনা পর্যালােচনা চলতে থাকে।
যার পরিণতিতে আজ বৃটেন ছাড়া অন্য কোন ইউরােপীয় দেশেই এই।তথাকথিত ‘বুড়ি ছোঁয়া পদ্ধতি প্রচলিত নেই।
আনুপাতিক পদ্ধতিঃ
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিত্বে সকল ভােটার মতামত সর্বাধিক পরিণামে প্রতিফলিত করা।এই পদ্ধতির সবচাইতে সরল রূপ হচ্ছে দলভিত্তিক জাতীয় নির্বাচন।
এতে নির্বাচনে কোন নির্দিষ্ট প্রার্থী থাকে না। ভােটাররা কোন বিশেষ প্রার্থীকে ভােট না দিয়ে কেবল তাদের পছন্দসই পাটি বেছে নেবেন। সমগ্র দেশকে একক নির্বাচনী এলাকা গণ্য করে প্রাপ্ত ভােটের অনুপাতে বিভিন্ন দলের মধ্যে আসন ভাগ করে দেয়া হয়। এক্ষেত্রে কোন ভােটই নষ্ট হয়না। এই ব্যবস্থায় নির্বাচনের অন্যতম দৃষ্টান্ত তুরস্ক এবং ইসরায়েল।
এই ব্যবস্থার সমালােচনায় বলা হয়, এতে ভােটারদের সাথে প্রতিনিধিদের কোন সরাসরি সংযােগ ঘটে না। পার্টির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রার্থী।তালিকা দেয়া হয় এবং ঐ তালিকার ভিত্তিতেই প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘােষণা করা হয়।ফলে কোন এক অঞ্চল থেকে বেশী সংখ্যা প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে যেতে পারে, আবার অপর কোন অঞ্চল প্রতিনিধিত্বহীন থাকতে পারে। যার ফলে ক্ষমতার শীর্ষস্থানেই
জাতির ভাগ্য বাঁধা পড়ে থাকে।ইকনমিস্ট পত্রিকা ১৯৮৬ সালে ‘দা ওয়ার্ল্ড এটলাস অফ ইলেকশান্স’ নামে এক সমীক্ষা প্রকাশ করে। এতে পৃথিবীর ৩৯ টিতে দেশের শাসন ব্যবস্থাকে ‘গণতান্ত্রিক আখ্যা দেয়াহয়েছে।
এই দেশগুলাের মধ্যে ২৩টিতে সরাসরি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা রয়েছে।দেশগুলােহচ্ছে-অষ্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ডােমিনিকান,রিপাবলিক, ইকুয়েডর, ফিনল্যাণ্ড, ফ্রান্স, গ্রীস, আইসল্য, ইসরায়ল, ইতালী,লুক্সেমবুর্গ, নেদারল্যাণ্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যাণ্ড এবং ভেনিজুয়েলা।
অপরদিকে গরিষ্ঠ ভােট পদ্ধতি (ব্রিটিশ পদ্ধতি রয়েছে মােট ১৪টি দেশে। বাহামা,বারবাদেসবােতসােয়ানাে, কানাডা, ফিজি, ভারত, জেমাইকা, জাপান, নিউজিল্যাণ্ড,পাপুয়া নিউগিনি, সলােমন দীপপুঞ্জ, ত্রিনিদাদ, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অপর দু’টি রাষ্ট্রের একটিতে (পশ্চিম জার্মানী) মিশ্র পদ্ধতি, অপরটিতে (অষ্ট্রেলিয়া)মেজরিটান পদ্ধতি চালুরয়েছে।
জার্মানীর মিশ্র পদ্ধতিতে কতক আসন সরাসরি গরিষ্ঠ ভােটে এবং অপর কিছু আসন আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের নিরিখে নির্ধারিত হয়।মেজরিটান পদ্ধতিতে প্রার্থীদের একজনও যদি শতকরা ৫০ ভাগ না পায় তাহলে সর্বোচ্চ ভােটপ্রাপ্ত দু’জনের মধ্যে দ্বিতীয় ব্যালটে আয়ােজন করা হয় অথবা ভােটারগণ একাধিক প্রার্থীকে অগ্রাধিকারসুচক ভােট প্রদানকরেন। কোন প্রার্থী সরাসরি শতকরা পঞ্চাশ ভাগ ভােট না পেলে পরবর্তী অগ্রাধিকার ভােটের ভিত্তিতে জয়-পরাজয় নির্ধারিতহয়।আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রিটিশ গরিষ্ঠ ভােট পদ্ধতি মুলতঃ প্রাক্তন ব্রিটিশ উপনিবেশগুলােতেই এখনও টিকে আছে। জাপানের উচ্চকক্ষের একশ’টি আসনে নির্বাচন হয় আনুপাতিক পদ্ধতিতে।নিম্নপরিষদের নির্বাচনে যৌথ নির্বাচনী এলাকা ব্যবহার করা হয় বিধায় বাস্তবে তা ব্রিটিশ পদ্ধতি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং তাতে আনুপাতিক পদ্ধতির সুবিধা অনেকাংশে বহাল থাকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারটাও সেখানকার প্রায় চিরস্থায়ী দ্বিদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থার কারণে সম্পূর্ণ ভিন্ন।এই বিশ্লেষণ থেকে দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলােতে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বই ব্যাপকভাবে প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতি।
আমাদের দেশে আমরা ব্রিটিশ শাসনের উত্তরাধিকার হিসাবে যে নির্বাচন পদ্ধতি এখনাে আঁকড়ে ধরে আছি, পৃথিবীর অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশ বহু পূর্বেই তা বর্জন করেছে।
অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশ বহু পূর্বেই তা বর্জন করেছে।খােদ ব্রিটেনেই আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের পক্ষে জনমত এখন ক্রমেই প্রবল হয়ে উঠেছে। ব্রিটেনের লিবারেল পার্টি বহু বছর ধরেই এই পদ্ধতি প্রবর্তনের দাবী জানিয়ে আসছে।
কিন্তু অপর দুই প্রধান দল বর্তমান পদ্ধতি বহাল রাখতে চায়। উপরে ব্রিটিশ নির্বাচনের যে বিশ্লেষণ দেয়া হয়েছে তা থেকে এর কারণ খুবই স্পষ্ট। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চালু হলে এই দুই দলের আসন সংখ্যা কমে যাবে এবং লিবারেল পাটি অনেক বেশী আসন পাবে। লিবারেল পার্টির সমর্থন সারাদেশে প্রায় সমভাবে ছড়ানাে থাকায় এবং অপর দুই দলের একটির সমর্থন দেশের দক্ষিণে, অপরটি দেশের উত্তরে বেশী কেন্দ্রীভূত থাকায় এরকম পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে। তবে ব্রিটিশ জনমতও ক্রমেই আনুপাতিক পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছে। এক সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ব্রিটেনের
শতকরা সত্তুর ভাগেরও বেশী লােক এখন মনে করেন আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বই অধিকতর গণতান্ত্রিক।
তাই অদুর ভবিষ্যতে বৃটেনেও আনুপাতিক পদ্ধতি চালু হবার সম্ভাবনা এখন আর উড়িয়ে দেয়া যাবে না
লেখক: সদস্য,কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি জাতীয় পার্টি । কেন্দ্রীয় সহসভাপতি, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি । সভাপতি, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।